মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহকারী কোন ধমনীর বা এদের শাখা-প্রশাখার ভিতরে তঞ্চন পিণ্ড বা ব্লকেজ সৃষ্টির ফলে রক্তের সরবরাহ বিঘ্নিত বা বন্ধ হওয়াকে স্ট্রোক বলে।
বর্তমান সময়ে স্ট্রোক এর সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা অনেক সময় স্ট্রোক আর হার্ট অ্যাটাকে একসাথে গুলিয়ে ফেলি। অনেক সময় বলতে শোনা যায়, অমুকের হার্ট স্ট্রোক করেছে। কথাটা একেবারেই ভুল স্ট্রোকের সাথে হৃদপিন্ডের সরাসরি কোনো সংযোগ নেই। স্ট্রোক হলে মস্তিষ্কের রক্ত সরবরাহকারী ধমনীর ব্লকের এর ফলে রক্ত প্রবাহের বিঘ্নতা।
স্টোকের কারণসমূহ:
১. মস্তিষ্কগামী কোন ধমনীর অন্তর্গত স্নেহপদার্থ জমে তঞ্জন পিণ্ড সৃষ্টি হওয়া
২. উচ্চরক্তচাপের ফলে মস্তিষ্কের কোন ধরনের অনিয়ন্ত্রিত সংকোচন
৩. অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস
৪. দীর্ঘদিন যাবৎ কিডনিতে সমস্যা
৫. প্রতিনিয়ত অতিরিক্ত চর্বি বা কোলেস্টেরল যুক্ত খাদ্য গ্রহণ
৬. ধূমপান মদ্যপান
৭. অলস জীবন যাপন, বাধ্যক্য অবস্থায়, স্থূলতা, মানসিক চাপ ইত্যাদি কারণেও স্ট্রোক হতে পারে
স্ট্রোকের লক্ষণ:
প্রচণ্ড মাথাব্যথা, অস্থিরতা, শরীর শারীরিক দুর্বলতা, অনিদ্রা, বমি বমি ভাব, গলার দুই পাশ রক্তনালী ফুলে যাওয়া, নাক মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ, জ্ঞান হারানো ইত্যাদি।
করণীয় বা প্রতিকার:
১. দুশ্চিন্তামুক্ত জীবন যাপন
২. দৈহিক ওজন, ডায়াবেটিস রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন
৩. সচল জীবনযাপন ও নিয়মিত ব্যায়াম
৪. শাকসব্জি ও ফলমূল বেশি করে খাওয়া
৫. কোলেস্টেরল ও চর্বি জাতীয় খাবার কম খাওয়া
Comments
Post a Comment